KalushahMajar
|
|
বাউল সাধক কালুশাহ(১৮১০-১৯০৬)মানিকগঞ্জ বাউল জগতের উজ্জ্বলতম ব্যক্তিত্ব। সাটুরিয়া উপজেলার কাউন্নারা গ্রামে তাঁর মাজার অবস্থিত।সাধক কালুশাহ মারফতী, মুরশিদী, দেহতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ক গান রচনা করে নিজে গাইতেন। তাঁর গান বাংলাদেশ ও ভারতের অসংখ্য ভক্তের কন্ঠে এখনো গীত হয়। রেডিও এবং টেলিভিশনে কালুশাহ-র গান প্রচারিত হয়। কালুশাহ একাডেমী ও কালাশাহ শিল্পীগোষ্ঠী তাঁর গান সংরক্ষণ, প্রশিক্ষণ ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।কালুশাহ-র মাজারে প্রতিবছর মাঘ মাসের চাঁদের ১০ ও ১১ তারিখে ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ভক্ত এবং দেশের প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবীদের সমাগম ঘটে।
|
|
ParilMajar
|
|
ParilMajar,Singair, Manikganj
|
|
Rofiq jadughor
|
|
প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ জন্মঃ ৩০ অক্টোবর ১৯২৬ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রাম মৃত্যুঃ ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ পিতাঃ আব্দুল লতিফ মাতাঃ রাফিজা খাতুনশিক্ষা জ্ঞান আর বিপ্লবের অগ্নিমন্ত্রে উদ্দীপ্ত পারিলে ১৯২৬ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহন করেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক উদ্দিন আহমদ। রফিকের দাদার নাম মোঃ মকিম । মোঃ মকিমের ঘরে জন্ম নেন জরিপ উদ্দিন,তরিপ উদ্দিন,ওয়াসিম উদ্দিন,আব্দুল লতিফ । এই আব্দুল লতিফই রফিকের গর্বিত পিতা। মা রাফিজা খাতুন । এদের ঘর আলো করে জন্ম নেন রফিক উদ্দিন আহমদ ,আব্দুর রশিদ ,আব্দুল খালেক ,আব্দুস সালাম , খোরশেদ আলম ,আলেয়া বেগম , জাহানারা বেগম। বাল্যকাল থেকেই রফিক ছিলেন চঞ্চল প্রাণোচ্ছল । প্রাণোচ্ছলতার শিল্পীত প্রকাশও ঘটেছিল কৈশর বয়সেই। সুঁই-সুতায় নকশা আঁকায় হাত পেকে ছিল বেশ। রফিকের দূরন্তপনার মূখ্য বিষয় ছিল গাছে চড়া । আর গাছে চড়তে গিয়েই একবার তার পা ভাঙে। চিকিৎসার জন্য সে সময় তাকে কলকাতা পর্যন্তও পাঠানো হয়েছিল । চঞ্চল রফিকের ভবিষ্যত ভেবে তার বাবা তাঁকে কলিকাতার মিত্র ইন্সটিটিউটে ভর্তি করিয়ে দেন। কিন্তু সেখানে তাঁর মন টেকেনি। কবছর পর ফিরে আসেন দেশে। ভর্তি করিয়ে দেয়া হয় সিংগাইরের বায়রা হাই স্কুলে। এ স্কুল থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি । এরপর কলেজ জীবন । ভর্তি হন দেবেন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগে এবং ১ম ও ২য় বর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তারপর লেখাপড়া বন্ধ। তবে লেখাপড়া ছেড়ে থাকা তাঁর সম্ভব হয়নি । আবারও ভর্তি হন ঢাকার জগন্নাথ কলেজে । জগন্নাথ কলেজেল ছাত্র থাকাকালেই শাহাদাৎ বরণ করেন তিনি । তাই সিংগাইর বাসী যাতে ভাষা শহীদ রফিক উদ্দিন আহাম্মদ এর জীবনাদর্শ সম্পর্কে জানতে পারে সেই লক্ষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষথেকে সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নে পারিল গ্রামে তৈরী করা হয়েছে ভাষা শহীদ রফিক স্মৃতি পাঠাগার।
|
|
Shibalaya Heritage
|
|
Shibalaya
|
|
Dotara Mosque
|
|
Dotara Mosque,Ghior,Manikganj
|
|
Macayen Mazar
|
|
Macayen Mazar,Harirampur.
|
|
Mattah Moth
|
|
বর্তমান মানিকগঞ্জ সদরের দেড় মাইল পূর্বে মত্ত গ্রামটিতে এক সময় প্রতাপশালী জমিদারদের বসবাস ছিলো। তাদের মধ্যে রামকৃষ্ণ সেন এবং তার ছেলে প্রসন্ন কুমার সেনের নাম উল্লেখযোগ্য। মানিকগঞ্জের পুরাকীর্তির ইতিহাসে সদর উপজেলার মত্ত গ্রামের গুপ্ত পরিবারের অবদানের স্বীকৃতি পাওয়া যায়। এ পরিবারের আদি পুরুষ ছিলেন শিবানন্দ গুপ্ত। শিবানন্দ, প্রভাস গুপ্ত, শিশির গুপ্ত এবং প্রবোধ গুপ্ত পর্যন্ত মোট ২৩ পুরুষের সন্ধান জানা গেছে। গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা শিবানন্দ গুপ্ত নামকরা কবিরাজ ছিলেন। তিনি পাঠান সেনাপতি মীর মকিমের পারিবারিক চিকিৎসক ছিলেন। অনুমিত হয় যে, বাংলাদেশে পাঠান শসনামলে মত্তের গুপ্ত বংশীয় উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ এ এলাকায় যেমন বিশেষ প্রাধান্য বিস্তার করেছিলো তেমনি ভেষজ চিকিৎসা শাস্ত্রে তাদের অগাধ বুৎপত্তি প্রবাদের মতো লোকমুখে আজও উচ্চারিত হয়।
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ মানিকগঞ্জ শহর থেকে রিক্সাযোগে/পদব্রজে যেতে হয়। দূরত্ব ৩ কিঃমিঃ। রিক্সাভাড়া ২০/২৫ টাকা। রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা নেই।
|
|
Teouta Jomiderbari
|
|
ঢাকা থেকে বাসে আরিচা ঘাট এসে নামতে হবে। এরপর সি এন জি অথবা রিক্সা যোগে তেওতা যেতে হবে।এছাড়া নদী পথেও আসা যাবে। এজন্য নৌকায় আরিচাঘাটে এসে নামতে হবে। যমুনা নদী দিয়ে বাংলাদেশের যেকোন পয়েন্টে থেকে তেওতা জমিদারবাড়ী আসা যাবে।
পদ্মা নদীর কোল ঘেষে কালের স্বাক্ষী বহন করে আসছে তেওতা জমিদার বাড়ী। এখানে বসবাস করতেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের ইসলামের সহধর্মীনি প্রমিলা দেবী। বহু ইতিহাস বহন করে আসছে এই জমিদার বাড়ী। বহু দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও জড়াজীর্ন হয়ে দাড়িয়ে আছে তেওতা জমিদার বাড়ী। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শেষ প্রান্ত আরিচা ঘাট থেকে রিক্সা যোগে যাওয়া যয় এই জমিদার বাড়িতে।বাংলা ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরে এই উপজেলা সাজে নতুন সাজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতী নেয় এই এলাকার সর্বস্তরের জনগন তারা সাদর সম্ভাসনে আমন্ত্রন জানিয়ে পালিতকরে নববর্ষ বর্ষ বরন অনুষ্ঠানে।
অবস্থান: তেওতা, শিবালয়, মানিকগঞ্জ
|
|
BatilaJomiderbari
|
|
জেলা মানিকগঞ্জ। থানা মানিকগঞ্জ সদর। এই এলাকার বেতিলায় ছিমছাম সবুজ ঘেরা গ্রাম। বেতিলার মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে বেতিলা খাল। এই বেতিলা খালই একসময় ছিল প্রবল খরস্রোতা। নানান বজরা, মহাজনী নৌকা আসা যাওয়া করতো ধলেশ্বরী আর কালিগঙ্গার নদীর পথে। এই ধলেশ্বরী আর কালিগঙ্গাকে সংযুক্ত করেছে বেতিলা খাল। তাই এই নিরাপদ নৌরুট বেছে নিয়েছিলেন জ্যোতি বাবু বা সত্য বাবুর মতো বড় বড় বণিকেরা। যার জন্য এতো ভূমিকা সেই বেতিলা জমিদারবাড়ি লোকমুখে জমিদারবাড়ি হিসেবে প্রচলিত হলেও এটি আদতে সত্য বাবুর বসতবাড়ি। সেই সময়ের অজপাড়াগাঁয়ের এই বিশাল দালান কোঠা, শান-শওকত স্থানীয় দের কাছে জমিদারী হিসেবে পরিচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এমনকি বর্তমানে সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এই বাড়ি সেখানের সাইনবোর্ডে বেতিলা জমিদার বাড়ি হিসেবেই পরিচিত এই বাড়ি। এখানে বিল্ডিং দুটো, পাশাপাশি। এ বাড়ির ইতিহাস খুব একটা পরিচিত নয়, তথ্যগত অভাব তাই প্রকট। নেট বা বইপত্র ঘেঁটে বিশেষ কোন কিছুই পাওয়া যায় না । সামান্য কিছু তথ্য উপাত্তের পাশাপাশি আপাতত স্থানীয় লোকজনের মুখে আর এখনকার বসবাসরত বাসিন্দাদের কাছ থেকে শোনা গল্পই ভরসা। আগেই বলেছি, জ্যোতি বাবু নামের কোলকাতার বণিক এই জমিদার বাড়ির পূর্বপুরুষ। তিনি ছিলেন মূলত পাটের বণিক। ধারণা করা যায় এই এলাকার পাটের ব্যবসায়ের সুবিধার কারণে এ অঞ্চলে তাঁর আগমন আর পাটের বণিক জ্যোতি বাবুর কোলকাতার ব্যবসা আর বাড়ির এক্সটেনশন হচ্ছে এই বেতিলা জমিদার বাড়ি।
|
|
Baliati Jomiderbari
|
|
মানিকগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির ইতিহাসে বালিয়াটির জমিদারদের অবদান উল্লেখ যোগ্য। বালিয়াটির জমিদারেরা ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে আরম্ভ করে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বছর বহুকীর্তি রেখে গেছেন যা জেলার পুরাকীর্তিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বালিয়াটির পাঠান বাড়ীর জমিদার নিত্যানন্দ রায় চৌধুরীর দু’ছেলে বৃন্দাবন চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং জগন্নাথ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে বালিয়াটির নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। বালিয়াটিতে আজও দু’বেলা রাধা বল্লব পূজো হচ্ছে। বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরী সাটুরিয়া থেকে বালিয়াটির প্রবেশ পথের পাশে কাউন্নারা গ্রামে একটি বাগানবাড়ী নির্মাণ করেন এবং সেখানে দিঘির মাঝখানে একটি প্রমোদ ভবন গড়ে তোলেন যেখানে সুন্দরী নর্তকী বা প্রমোদ বালাদের নাচগান ও পান চলতো। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দৃষ্টিনন্দন ও প্রাসাদের রক্ষনাবেক্ষণ করছে।
|
|